বাংলাদেশের ‘প্রথম ও দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ বিতর্কে সরব হয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, যারা লুটপাটের রাজনীতি করে তাদের কাছে চব্বিশ দ্বিতীয় স্বাধীনতা নয়। কিন্তু বিগত ১৫ বছরে শেখ হাসিনার (আওয়ামী লীগের) নিপীড়নের শিকার হওয়াদের কাছে ২৪ দ্বিতীয় স্বাধীনতা।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) রাজধানীর বাংলামোটরে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা সফরবিরোধী আন্দোলন, নিহতদের তালিকা প্রকাশ, রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও বিচারের দাবিতে এ আলোচনা সভা হয়।
নাহিদ ইসলাম বলেন, যাদের ব্যাংক-ব্যালান্স অক্ষুণ্ন ছিল, যারা আপস করে বিরোধী রাজনীতি করেছেন, তাদের কাছে হয়ত এটা স্বাধীনতা মনে হয় না। কারণ তারা সবসময় হয়ত স্বাধীন ছিল, আগের আমলেও ছিল। তাদের কাছে প্রথম স্বাধীনতা গুরুত্বপূর্ণ নয়, দ্বিতীয় স্বাধীনতা গুরুত্বপূর্ণ নয়। তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ লুটপাটের স্বাধীনতা।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ভারতের স্বার্থ রক্ষা করেছে মন্তব্য করে নাহিদ ইসলাম বলেন, দেশটির সহায়তায় দলটি ক্ষমতায় ছিল। তাদের খুশি করতেই নতজানু পররাষ্ট্রনীতি করাই ছিল শেখ হাসিনার কাজ। দেশটি প্রতিবেশী বলে তাদের সঙ্গে আমাদের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে। তবে তাদের সঙ্গে সমতা-ন্যায্যতার ভিত্তিতে সম্পর্ক হবে।
তিনি বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, মোদীবিরোধী ও জুলাই হত্যাকাণ্ডে আওয়ামী লীগ জড়িত। এই সবকিছুর বিচার নিশ্চিত করতে হবে। কারণ বিচার এখন না হলে আর হবে কিনা বলা যাচ্ছে না।
সংখ্যালঘু প্রসঙ্গে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ভারতে সংখ্যালঘু নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানাই। দেশটির মিডিয়া ৫ আগস্ট পরবর্তী গুজব ছড়াচ্ছে। এসবের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল। জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বাধীন-সার্বভৌম পররাষ্ট্র নীতি তৈরি হয়েছে বাংলাদেশে। যেখানে জাতীয় স্বার্থ প্রাধান্য পাবে।