রৌমারী সংবাদদাতা : রৌমারী শুল্ক স্থলবন্দরে ভারত থেকে আমদানীকৃত পাথর বোঝাই প্রতি ট্রাক থেকে পারিশ্রমিক ও বিভিন্ন খরচের নামে ১৪ শ’ থেকে ১৮’শ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ সিএনএফ এজেন্সি, আমদানী রফতানি কারক এ্যাসোসিয়েশন ও কাস্টমস কর্মকর্তার যোগসাজসে নির্ধারিত ওজনের চেয়ে অতিরিক্ত পাথর আমদানী করার অভিযোগের ভিত্তিতে একাধিক পত্র পত্রিকা ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের পরেও বন্ধ হয়নি চাঁদা আদায়। এতে অতিরিক্ত ও রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তারা। খুটির জোড় কোথায়, টনক নড়েনি প্রশাসনের। গত ১৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার শুল্ক স্থলবন্দরে
সরেজমিনে গেলে আবারও অনিয়মের এসব তথ্য পাওয়া যায়। ভুক্তভোগীরা প্রশাসনের নিকট দ্রুত পদক্ষেপের দাবী জানান।
সরেজমিনে রৌমারীর চর নতুনবন্দর শুল্ক স্থলবন্দরে গিয়ে জানা যায়, সিএনএফ ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে দ্বন্দের কারনে দীর্ঘ ৯ মাস পাথর আমদানী বন্ধ ছিল। পরবর্তীতে গত ২৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার থেকে ভারতের আসাম প্রদেশের মানকারচর সীমান্ত শাহপাড়া হয়ে বাংলাদেশের রৌমারীর চর নতুনবন্দর শুল্ক স্থলবন্দরে পাথর আমদানী শুরু হয়। পাথর আমদানী শুরু হলেও স্বস্তিতে নেই ব্যবসায়ী মহল। পাথর বোঝাই ট্রাক প্রতি পারিশ্রমিক ও বিভিন্ন খরচের অজুহাতে অতিরিক্ত ১৪ ’শ থেকে ১৮’শ টাকা চাঁদা আদায় করে। অপর দিকে কাস্টমস কর্মকর্তার যোগসাজসে নির্ধারিত ওজনের চেয়ে অতিরিক্ত পাথর আমদানী করা হচ্ছে। পরিমাণের চেয়ে অতিরিক্ত পাথরের ভ্যাট-টেক্স থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। এসব অনিয়মের বিষয় নিয়ে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্্র মিডিয়ায় ঢালাও ভাবে সংবাদ প্রকাশ হলেও ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ীরা বলেন, পাথর আমদানীকৃত প্রতিটি গাড়িতে আমাদের ভ্যাট, টেক্স, ভাড়া এলসি করার সময় দেওয়া হয়। বাংলাদেশে পাথর বোঝাই ট্রাক আসার পরে পাথর আনলোড করার আগেই সিএনএফ কাগজ ক্লিয়ারেন্স দেখিয়ে বিভিন্ন খরচের নামে আমাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ১ হাজার ৮’শ টাকা নেয়।
রৌমারী সিএনএফ এজেন্সির পরিচালকের প্রতিনিধি মামুন মিয়া বলেন, বর্তমানে রৌমারী ৫ টি সিএনএফ’র এজেন্সি রয়েছে। এর মধ্যে একত্রে রয়েছি ৩ এজেন্সি। অপর ২ টি এজেন্সি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এদিকে প্রতিটি ট্রাকের ধরন অনুপাতে ১৪’শ থেকে ১৮’শ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়। যাহা সিএনএফ সহ স্থলবন্দরের বিভিন্ন খরচ বাবদ ব্যয়।
আমদানী ও রপ্তানী কারক এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আলেপ উদ্দিন জানান, সিএনএফ ও কাস্টমস কর্মকর্তার নির্দেশনা অনুযায়ী ট্রাক প্রতি ১৮’শ টাকা নেওয়া হয়। এ টাকা বিভিন্ন খাতে খরচ হয়।
আমদানী রপ্তানী কারক এ্যাসোসিয়েশন সভাপতি রৌমারী সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, অতিরিক্ত টাকা নয়, এ টাকা নেওয়া হয় যাহা ভ্যাট, টেক্স ১৪’শ টাকা ও আনুসাঙ্গিক কিছু খরচ বাবদ ৪/৫’শ টাকা নেওয়া হয়।
নাহিদ গাজী রাজস্ব কর্মকর্তা, কাস্টম, এক্সাইজ ও ভ্যাট সার্কেল রৌমারী, অতিরিক্ত পাথর আমদানী বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, অতিরিক্ত পাথরের ভ্যাট টেক্স এডজাস্ট করা হয়। তবে ট্রাক প্রতি অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রৌমারী শুল্ক স্থলবন্দরে সিএনএফ’র বন্ধ হয়নি চাঁদা আদায়
